অতিরিক্ত চুল ঝড়ে পড়ার সমাধান পান এক নিমেষে? Hair fall treatment solution at home. Hair fall solution tips in Bengali.y
বর্ষাকালে চুলের যত্ন-
দেখা যায় বর্ষাকাল মানেই চুল ঝরে পড়ার সমস্যা শুরু হওয়া! মাথায় হাত দিলেই উঠে আসছে মুঠো মুঠো চুল! তবে এই ভয় আর পাওয়ার নেই। আপনার হাতের সামনেই আছে বেশ কিছু সহজ উপায়। জেনে নিন, কীভাবে রাতারাতি বন্ধ হবে চুল পড়া!
(১)- রাতারাতি চুল পড়া বন্ধ করতে পারে এক মাত্র চাল ধোওয়া জল। হ্যাঁ এই পদ্ধতি কোরিয়া, জাপানে খুব জনপ্রিয়। ঘন কালো একরাশ চুলের রহস্যই এই চাল ধোওয়া জল।
জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন।প্রথমে একটা পাত্রে চাল নিন। দুই-কাপ চাল নিন। একবার ভালো করে কচলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এর পর ওই চাল সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন
।এর পর চাল থেকে জলটা ছেঁকে নিন। নিয়ে একটা ভালো কন্টেনার বা পাত্রে রাখুন। ফ্রিজে রাখবেন না। ওই জলটা দু থেকে তিন দিন বাইরে রেখে দিন।এরপর একটা টক টক গন্ধ বেরোলে জল থেকে বুঝবেন আপনার মিশ্রন তৈরি। এবার শ্যাম্পু করার পর জলের সঙ্গে ওই রেখে দেওয়া চাল ধোওয়া জল দু থেকে তিন চামচ মেশান। এবং ভালো করে মাথায় মাখুন। ১৫ মিনিট ভিজে চুলে এই মিশ্রন মেখে রেখে দিন। তারপর ধুয়ে নিন জলে। দেখবেন ধীরে ধীরে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
গরমকালে চুলের যত্ন-
(২)- যে কোনও ঋতুতে ত্বকের মতো চুলেরও আলাদা করে যত্নের প্রয়োজন আছে। আর গরমের দিন মানেই চুল নিয়ে বাড়তি চিন্তা! কারণ এই সময় চুলের গোড়ায় ঘাম বসে চুল ঝরতে শুরু করে। শুধু তা-ই নয়, রুক্ষভাব আর ডগাফাটা চুলের সমস্যাও দেখা দেয় এই সময়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, গ্রীষ্মের চড়া রোদ আর বাতাসের আর্দ্রতার কারণে চুলের অবস্থা নাজেহাল হয়ে ওঠে। আর এই কারণেই গরমের দিনে চুলের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, গরমে চুলের যত্ন নেওয়ার কয়েকটি সহজ উপায়।
আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে কখনও কখনও আমাদের চুল (বিশেষ করে চুলের শেষ ভাগ) ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। যার ফলে চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। আবার গরমের দিনে ক্লোরিন জলে স্নান করলেও চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই ডগা ফাটা চুলের শেষের দিকের শুষ্ক অংশ কেটে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে রুক্ষতার হাত থেকে মুক্তি পেতে শ্যাম্পু করার পর ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। স্ক্যাল্প এবং চুলের দৈর্ঘ্যে পুষ্টি জোগাবে, এমন ভাবেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত স্ক্যাল্পের ক্ষেত্রে অয়েলিং ট্রিটমেন্টের পরিবর্তে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।চুলের যত্নে সব সময় সালফেটমুক্ত চুলের প্রোডাক্টই ব্যবহার করা উচিত। কারণ গরমের দিনে অনেক সময়ই চুল ও স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ভালো সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু তেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্ক্যাল্পের পিএইচ মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি অ্যালার্জিও প্রতিরোধ করবে এই ধরনের শ্যাম্পু।
হিট স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহার-
গরম কালে তাপমাত্রা এমনিতেই বেড়ে যায়। তার উপর চুলে হিট স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে তা চুলের জন্য আরও ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। আসলে গ্রীষ্মে হিট স্টাইলিং প্রোডাক্টের ব্যবহার চুলকে আরও বেশি রুক্ষ এবং শুষ্ক করে তোলে। তাই এই ধরনের উপাদান চুলের জন্য না-ব্যবহার করাই ভালো। শুধু তা-ই নয়, বাইরে বেরোনোর সময় চুল বেঁধে রাখতে পারলে ভালো হয়।
চুল ঝরার সমস্যা রুখতে আর ও বেশ কিছু করনীয়-
ঋতু পরিবর্তনের জেরে স্ক্যাল্পে ফ্লেকস্ হতে পারে। এক্ষেত্রে স্ক্যাল্পের রুক্ষ-শুষ্ক মৃত চামড়া উঠে আসতে থাকে। আর এটাই অতিরিক্ত চুল ঝরার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই মাথার ত্বকের যে কোনও রকম অ্যালার্জি দূর করার জন্য একটি ট্রিটমেন্ট করানো খুবই জরুরি। তাছাড়া রোদে পোড়ার জ্বালা অথবা চুলকানির হাত থেকে রেহাই পেতে স্ক্যাল্পে অ্যালোভেরা জেল লাগানো যেতে পারে এবং একটি মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে তা ধুয়ে ফেললে ভালো ফল পাওয়া যাবে। প্রচলিত বচন আছে, মানুষের কেশেতেই বেশ,কেশ যদি ভালো না হয় তাহলে তার সৌন্দর্য্য অনেক টাই হ্রাস পায়।
Post a Comment
0 Comments