নতুন খবর
লকডাউন তোলার কারনে,কোন কোন দেশে হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ।corona updates.
লকডাউন তোলার কারণে কোন, কোন দেশে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা-দেখে নিন.....
লকডাউন তুলে নিলে করোনা সংক্রমণ যে বহু হারে ছড়িয়ে পড়বে, তা কিন্তু মনে করেন চিকিৎসকের একাংশ।অর্থনৈতিক দিক চাঙ্গা করতে লকডাউন সরিয়ে ইতিমধ্যেই বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে আমেরিকা ও ইউরোপের একাধিক দেশ। যদিও সেই সঙ্গে একাধিক স্বাস্থ্যবিধি ও জারি করা হয়েছে।ভারতের তৃতীয় দফার লকডাউন 17 ই মে পর্যন্ত কিন্তু তার পরেও যে লকডাউন উঠছে না,তা পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চতুর্থ দফার লকডাউনের ছাড়ের তালিকা যে বাড়বে তার ইঙ্গিত সুস্পষ্ট। লকডাউন শুরুর আগেও বর্তমানে কোন দেশের অবস্থা কেমন তা জেনে নেওয়া যাক--
চিন--২০১৯ এ নভেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের প্রথম করোনা দেখা যায় যার ভারকেন্দ্র ছিল উহান। সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে দেখে তেইশে জানুয়ারি থেকে লকডাউন জারি করে চীনা সরকার। প্রায় আড়াই মাস পর লকডাউন তোলা হয়। কিন্তু লকডাউন তোলার কিছুদিন পর আবারো করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে। তার আগেই সেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে। চীন থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় প্রভাব বিস্তার করে করো না।
আমেরিকা-16 ই মার্চ লকডাউন শুরু হয় গোটা আমেরিকায়। কিন্তু লকডাউন তোলার জন্য শুরু হয় বিক্ষোভ ও। আপাতত বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন শিথিল হলে ও সংক্রমণ বেড়েই চলেছে আমেরিকায়, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। আমেরিকায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত 13 লক্ষেরও বেশি এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় 80 হাজার। চিকিৎসকের মতে এক লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হবে আমেরিকায়। তবে লকডাউন এবারে তুলে নিতে চায় আমেরিকান সরকার এবং তাতে যে সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাবে তা বলাই বাহুল্য।
ইতালি-ইউরোপ মহাদেশের সবচেয়ে করোনা সংক্রমিত হয় ইতালিতে। সেখানে সবচেয়ে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়, যা দেখে ইতালির প্রশাসন 9 মার্চ লকডাউন ঘোষণা করেন। পরে অবশ্য সংক্রমনের কিছুটা লাগাম পড়ায় সরকার। 4 মে থেকে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা করা হয় ইতালিতে, সেখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ত্রিশ হাজারেরও বেশি।
স্পেন-ইউরোপের আরো একটি দেশ স্পেনেও করোনা থাবা বসায়। কিন্তু তৎক্ষণাৎ স্পেন সরকার দেশজুড়ে লকডাউন জারি করেন। 28 এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা করেন স্পেন প্রধানমন্ত্রী।লকডাউন তোলার পরও কিন্তু সেভাবে সংক্রমণ বাড়েনি বলা যায় স্পেনে মোট ক্রান্ত লক্ষেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে 26 হাজারেরও বেশি মানুষ।
ব্রিটেন-এখানে এখনো পর্যন্ত করো না আক্রান্তের সংখ্যা 1লক্ষ 30 হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে 33 হাজার মানুষের করণায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও যদিও তিনি এখন সেরে উঠেছেন।
ভারত-25 শে মার্চ থেকে লকডাউন জারি করা হয় সমগ্র ভারতে।প্রথম ও দ্বিতীয় পেরিয়ে এখন চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। ভারতে গ্ৰিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা জেলা গুলিকে অর্থনৈতিক কারণে কিছু কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। লকডাউন চতুর্থ দফায় চলে এসেছে তা পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সংখ্যা চীনের ঠিক পরেই অবস্থান করছে। 81 হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে তার সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে প্রায় 3 হাজার। লকডাউন শিথিল করলে কতটা তার প্রভাব পড়বে সেটাই এখন অজানা।
Post a Comment
0 Comments