আগামী শনিবার পর্যন্ত তাণ্ডব চলবে কালবৈশাখীর-

মাঝরাতে হঠাৎ এই কালবৈশাখীর উপস্থিতি টের পেল কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলা। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় 71 কিলোমিটার। কালবৈশাখীর প্রকোপে মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার দেখা মিলেছে। বুধবার থেকেও কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের দেখা মিলেছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, এই মোরসুমে যতগুলো কালবৈশাখী ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে রাজ্যবাসী তার মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিল এটি।
Weather in Howrah, weather in Kolkata, weather in west Bengal
কালবৈশাখীর তান্ডব
এবার পড়ুন- করোনা ভাইরাস পশু/পাখি,না মানুষের সৃষ্টি
তিন, চারদিন ধরে এই আবহাওয়া চলবে বলে জানান আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। চলবে ঝড়ো হাওয়া সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। বৈশাখ মাস পড়ার আগে থেকেই কালবৈশাখীর দাপট শুরু হয়ে যায়।তবে এ বছর বৈশাখের তীব্র দাবদাহে পড়েনি এখন রাজ্যবাসী। মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ যে ঝড়ের গতি লক্ষ্য করা যায়, তা ছিল ঘণ্টায় 71 কিমি বেগে সঙ্গে তিন মিনিটের বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।কিছু জায়গায় গাছ পড়েছে এর দাপটে।
Weather in Kolkata, weather in west Bengal, weather update,
কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছপালা

 তবে বুধবার সকালে আকাশ মেঘলা থাকলেও বেলার দিকে কিছুটা রোদের ঝলকানি দেখা যায়। কলকাতা হাওড়া সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা যেমন দার্জিলিং কালিম্পং ও অন্যান্য জেলায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলে জানান আবহাওয়া দপ্তর।আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর অনুযায়ী- দুটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকেছে রাজ্যের উপর, ফলে প্রবল ঝড় বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাছাড়াও দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত স্থান দখল করেছে।গত 24 ঘণ্টায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 35 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 21.8 ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে 4° কম। গত 24 ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে প্রায় 42.6 মিলিমিটার।রাজ্যের অন্যান্য জেলার তাপমাত্রা অনেকটাই কম আছে বলে জানা যায়।

Weather in west Bengal, weather in Kolkata

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আমগাছ

 আগামী শনিবার পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টির প্রভাব কমবে না বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।রবিবার থেকে কিছুটা কমবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে, তবে কালবৈশাখীর বারবার তাণ্ডবের ফলে বিভিন্ন ফলের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানানো হয়। এর মধ্যে আম লিচুর ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।